বুড়ো হয়ে অনেক নামাজ পড়বো, রোজা রাখবো, হজ্জ করবো, দান সাদকাহ করবো! আপনি কি শিওর আপনি বুড়ো হয়ে মরবেন? দুনিয়ার ব্যাপারে আপনারা প্রায় সবাই হাই এম্বিশাস, কিন্ত আখিরাতের ব্যাপারে খুবই লো এম্বিশাস, কোনরকমে জান্নাতে গেলেই চলবে।
.
আপনি বিশ্বাস করেন দুনিয়া ক্ষনিকের আর আখেরাত চিরকালের অথচ আপনার ইফোর্টগুলো টোটালি দুনিয়া সেন্টারড। অথচ মুসলিমের দুনিয়াবি কাজগুলাও হওয়া উচিত আখেরাত সেন্টারড।
.
নবীজি (সাঃ)-এর যুগ, সাহবী, তাবেয়ির যুগ, তাবে-তাবেঈদের যুগ ইসলামের এই চার গোল্ডেন জেনারেশন এর দিকে নজর দিন। তাদের মেন্টালিটি আর ফোকাস কোথায় ছিলো।
.
তাদের মেন্টালিটি ছিল এরকম যে দুনিয়া কোনরকমভাবে কাটিয়ে দিলেই চলবে, কিন্ত আখিরাতে আমার উচু স্তরের জান্নাত লাগবেই। বিজনেস করতেন আখিরাত কেন্দ্রিক। ভাবতেন দুনিয়ায় আর কতোগুন লাভ পাবো আখেরাতে দশ গুন সাতশ গুন আল্লাহ চাহে তো লক্ষ্যগুন বা তার চেয়েও বেশী পাবো।
.
যুবক বয়স থেকেই তারা আখেরাত এর ব্যাপারে ছিলেন হাই এম্বিশাস, আপনার মতো ফোরটি ছিক্সটি ইয়ার্স এর প্লান করতেন না, কারন তারা জানতেন এবং প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করতেন নিশ্বাস এর গ্যারান্টি নাই,আপনি নাকি মানেন, কিন্ত আপনার কর্মকান্ডে চিন্তাচেতনায় তার প্রভাব সামান্য!
.
তারা ভাবতেন এখন তরুণ আছি প্রচুর প্রাণশক্তি আছে এখনি এগুলা কাজে লাগাই। আপনি ভাবেন এখন তরুণ আছি এখন শর্ট টাইমের দুনিয়ার পিছনে নিজের মেন্টাল আর ফিজিকাল এবিলিটি ব্যয় করে বাড়ি গাড়ি করবো যাতে দশটা বছর কাটাতে পারি বুড়ো হয়ে।বুড়ো হবো, তখন ইন্দ্রিয় গুলো কাজ করবেনা, প্রাণশক্তি ফুরিয়ে যাবে তখন খুব নামাজ রোজা দান সাদকাহ করবো।
.
এক জায়গায় থাকবেন ১ দিন প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমনভাবে যেন সেখানে সারাজীবন থাকবেন। উল্টোদিকে ধরেন একজায়গায় থাকবেন সারাজীবন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ১ দিন থাকার মতো।
.
আস্ক ইয়োরসেলফ।
.
নিজেকে আর কত ধোকা দিবেন? কয়েক সেকেন্ড পরে যদি মৃত্যু হয়ে যায়?
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
লেখাঃ আমিনুল ইসলাম রিফাত (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
.
.
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
_
#ওহী (Seeking The Way To Jannah)

Post a Comment