কাজিপুর সূর্য সন্তান ফাউন্ডেশন KSSF

"People are for the people"

Latest Post

7/04/2022
-----★---------★--------★---------★----
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
🌺আসসালামু আলাইকুম🌺

কাজিপুর হাজীপাড়ার
মোঃ বাদশা মিয়ার একমাত্র মেয়ে
মোছাঃ সিনথিয়া খাতুন (২ বছর)

আমাদের সংগঠনের প্রতিটা সদস্যের পক্ষ থেকে দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি।
আল্লাহু যেনো সিনথিয়া কে সুস্থতা দান করে।

কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন

🌍ওয়েব সাইটঃ https://kssfbd.blogspot.com
💌 জিমেইলঃ Kscf2019@gmail.com

  • Mobi: +8801302427858
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সীমান্ত বর্তী গ্রাম কাজিপুর হাজীপাড়ার মোঃ বাদশা মিয়ার একমাত্র ২ বছরের মেয়ে
মোছাঃ সিনথিয়া খাতুন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।
সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করছেন।
সাহায্য পাঠানো বিকাশ নং 01963805337
বা
#কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন
মধ্যে সাহায্য করতে পারেন আমাদের কালেকশনের কাজ চলে।

কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন,কাজিপুর ফাউন্ডেশন, kazipur foundeshon, kazipur songothon,কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন

-----★---------★--------★---------★----
দেড় বছর হল সংসার পেতেছি। এখন তো নতুন বৌও আর নতুন নেই। তবু বাসর রাতের সেই ঘটনাটা নতুন! অনন্য! অতুলনীয়। অবিস্মরণীয়!

বাসর রাতে আহলিয়াকে সারপ্রাইজ করতে তার হাতে একটা খাম দিয়ে বললাম- "এখানে একটা 'মুদারাবা' ফরম আছে। তোমার নামেই পূরণ করা। তুমি যাস্ট সইটা করে দিবে। প্রতি মাসে আমার বেতন থেকে এক হাজার করে জমা হবে তোমার একাউন্টে। ১২ বছর পর তা ফিরে আসবে দ্বিগুন লাভ নিয়ে।"

ভেবেছিলাম আহলিয়া খুব খুশি হবে। ধন্যবাদ জানাবে। কিন্তু না। তার চেহারা দেখে এমন কিছুই মনে হল না। একটু পর বলল, বারো বছর পর আমাদের জমানো ১লাখ ৪৪ হাজার টাকা ২লাখ ৮৮+ হাজার হয়ে যাবে। তাই তো?
: হুম!
: আচ্ছা আমি একটা ব্যাংকের ব্যাপারে জানি। যেখানে এরচেয়েও বেশি মুনাফা দেয়।
: কোন ব্যাংক?
সে উঠে গিয়ে কুর'আন শরীফ নিয়ে এলো। সূরা বাকারার ২৬১ নং আয়াতটি বের করে বলল তরজমাটি পড়ুন।
: আমি পড়তে লাগলামঃ

مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَ اللّٰہُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ  وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۶۱﴾

"যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যে বীজ উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। ( অর্থাৎ ৭×১০০=৭০০)।  (তবে) আল্লাহ যাকে চান তার জন্য (আরও) বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।"

এরপর সে আয়াতের ব্যাখ্যা করতে থাকল। বললঃ
"আল্লাহ তা'আলা দানকে চাষের সাথে তুলনা করেছেন। এতে সুগভীর কিছু শিক্ষা রয়েছে। যেমন ধরুন, ভালো চাষের জন্য, বেশি ফলনের জন্য তিনটা জিনিস লাগে।
১। একনিষ্ঠ চাষী।
২। ভালো জমি।
৩। ভালো বীজ।

অনুরূপ দানে ৭০০ গুন সওয়াব পেতে তিনটা জিনিস লাগবে।
১। দাতার বিশুদ্ধ নিয়ত। (অর্থাৎ একনিষ্ঠ চাষী)
২। দীনি খাত। (অর্থাৎ ভালো জমি)
৩। হালাল সম্পদ। (অর্থাৎ ভালো বীজ)

কেউ যদি দানের ক্ষেত্রে এই তিনটি দিক খেয়াল রাখে,  তাহলে তার দান আখেরাতে ৭০০ গুন তো হবেই। বরং আল্লাহ আয়াতের শেষ দিকে বলেছেনঃ

وَ اللّٰہُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ  وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۶۱﴾

"আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।"

বৌ আমার হাতটা চেপে ধরে বলল, আপনি যে টাকাটা আমার নামে ব্যাংকে রাখতে চেয়েছিলেন, সেটা 'আমাদের' নামে আল্লাহর ব্যাংকে রেখে দিন না! একটা দীনি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করুন, প্রতিমাসে এই পরিমাণ অংক তাতে দান করবেন। ইনশাআল্লাহ আখেরাতে তা অন্তত ৭০০ গুন হয়ে ফিরে আসবে, যেদিন কোনো বন্ধু, কোনো অর্থ, কোনো আত্মীয়ই কাজে আসবে না! সেদিন এই দান কাজে আসবে।

আমি বোবা হয়ে গেলাম। চোখ দুইটা ঝাপসা। সেই থেকে আজঅব্দি মাসিকদানে একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে  যুক্ত। আলহামদুলিল্লাহ। কোনো মাসে বিলম্ব হলে 'উনি' স্মরণ করিয়ে দেন।

প্রিয় পাঠক!
গল্পটা সত্য। বাকি ঈষৎ পরিমার্জিত। আল্লাহ ঐ দম্পত্তিকে কবুল করে নিক। আমীন।

#একটি_মজার_তাফসীর_বলি_সিরিজ এর ২০ নং পর্ব।
[ আয়াতের ব্যাখ্যাটা তাফসীরে কুরতবীতে হুবহু এভাবেই এসেছে।]
.
.
📝লেখা: masud alimi.

-----★---------★--------★---------★----
দ্যা আলকেমিস্ট



পাওলো কোয়েলহো নিঃসন্দেহে একবিংশ শতাব্দীর  একজন গুণী লেখক। অবশ্যই তাঁর লেখনীর সৃজনশীলতা তৈরি হয়েছে গত ৫০ বছরে, কিন্তু তাঁর জ্ঞান এবং যুক্তিবাদীতা নিঃসন্দেহে বর্তমানে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। বর্তমানে মানুষ ভোগবাদী এবং প্রগতিশীল জীবনযাত্রার জেলে আবদ্ধ। মানুষ ভুলে যেতে বসেছে যে তাদের একটি আধ্যাত্মিক দিক রয়েছে এবং তারা চাইলেই তাদের আত্মা থেকে দূরে সরে যেতে পারবে না। এবং আমরা জেনে হোক না জেনে হোক, কেন যেন কৃত্রিমতার মাঝে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিতে বেশি ভালোবেসে আসছি।অগাধ জ্ঞানের অধিকারী পাওলো আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন একটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান ভান্ডার যা কিনা আমাদের সকলের সামনে “দ্যা আলকেমিস্ট” নামে পরিচিত। এই বইটি জীবন দর্শনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়কে তুলে ধরেছে। তাঁর জ্ঞান এবং তাঁর প্রবল ইতিবাচক মানসিক চিন্তাধারা কিছু সুন্দর বিষয় আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। যা প্রমাণ করেছে, বই শুধু চিত্তবিনোদনের জন্য নয়, বরং জীবন দর্শন এবং জীবন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখে।



সাধারণত আমরা বই পড়ে থাকি সময় কাটানোর জন্য। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বই পড়ার বিষয়টি জ্ঞান অর্জন করার জন্য হয়ে থাকে। কিন্তু আসলে একটি বই, যা কিনা জীবন দর্শন এবং জীবনকে আরো বেশি সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে সে বইটিকে নিঃসন্দেহে একটি জ্ঞানভাণ্ডার ছাড়া আর অন্য কোন নামে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়। আজকে আমি তোমাদের জানাবো পাওলোর বিখ্যাত বই “দ্যা আলকেমিস্ট” বইয়ের কিছু জীবন দর্শন বা শিক্ষা যা তোমার জীবনকে আরও উন্নত করতে এবং পূর্ণাঙ্গ করতে সহায়তা করবে।


ভয় হচ্ছে তোমার জীবনের অন্যতম বাধা অন্য যেকোন দর্শনীয় বাধার চেয়েও ভয়ংকর বাধা হচ্ছে ভয়

ভয়ের কষ্ট নিজের সাথে লড়াই করা যেকোন কষ্টের চেয়ে ভয়ংকর। জীবনে কষ্ট ছাড়া কোনো সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। সফলতাকে না খুঁজলে সফলতা কখনো ধরা দেবে না। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে, ভয়কে দূরে সরিয়ে সফলতা খোঁজার জন্য বেরিয়ে পড়ো।



অজানা যেকোনো বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে ভয় কাজ করে। কিন্তু একই সাথে নতুন যে কোন বিষয় স্বাগতম জানানোর ব্যাপারটি আমাদের মাঝে উৎফুল্লতার সাথে কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। বিশ্বাস রাখতে হবে, মানুষ হিসেবে আমাদের মাঝে যেকোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়া একই সাথে যে কোন নতুন বিষয় জানার ব্যাপারটি অনেক ভালোভাবেই কাজ করে।




তাই অজানা কোন কিছু নিয়ে ভয় না পেয়ে নতুনকে বরণ করে নাও, স্বাগতম জানাও। একই সাথে ভয়কে জয় করে প্রতিকূলতা পেরিয়ে সফলতা অর্জন করবে করবে এমন একটি ইচ্ছা নিজের মাঝে পোষণ করো।

সত্যের জয় সব সময় হয়


তুমি যদি যেকোন পরিস্থিতিতে সত্যকে সবসময় গুরুত্ব দাও, তাহলে কেউ যদি তোমাকে ভুল বুঝে থাকে, তবুও সে কোন না কোন সময় তোমার সত্যটাকে অনুধাবন করে তোমার কাছে আসবে। ঠিক একই রকমভাবে তুমি যদি সাময়িকভাবে খুব ছোট এবং ক্ষণস্থায়ী আলোক রশ্মির মত মিথ্যাটাকে বেশি গুরুত্ব দাও, তাহলে জেনে রেখো কেউ যদি তোমাকে ভুল বুঝে থাকে, সে তোমাকে সাময়িক সময়ের জন্য সঠিক তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।



সত্যকে কখনোই নতুন করে ভিন্ন রূপ দেয়া সম্ভব নয়। সত্য সব সময় অনেক বেশি মূল্যবান এবং শক্তিশালী। আর তাই যখনই তুমি সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য সন্ধান করবে, সব সময় সত্যটাকেই বেশি গুরুত্ব দেবে। সেই সাথে অপরের সাথে সব সময় সত্যবাদী থাকায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে। কারণ, একমাত্র সত্যই তোমাকে যে কোন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে একমাত্র কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। আর পরিস্থিতি যতই নেতিবাচক থাকুক, মিথ্যার আশ্রয় নেবে না।

একঘেয়েমি বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলো



যখন কারো জীবনের প্রতিটি দিন একই রকম থাকে, তার মানে সে ভুলে গেছে যে, তার জীবনে প্রতিদিনই একটি চমৎকার নতুন বিষয় হচ্ছে আর তা হচ্ছে প্রতিদিনই নতুন সূর্য উঠবে নতুন সম্ভাবনা জাগ্রত হচ্ছে।



অর্থাৎ জীবনটাকে কোনোভাবেই একঘেয়ে করে ফেলা যাবে না। আমাদের আশেপাশে প্রতিটি দিনই নিত্য নতুন সম্ভাবনা, নিত্যনতুন অনেক কিছু ঘটছে প্রতিনিয়তই। মনে রাখতে হবে একঘেয়েমি হচ্ছে অনেকটা নীরব ঘাতকের মতো। তুমি যখন নিজের জীবনে কোন আনন্দ খুঁজে পাবে না বা নতুন কিছু করার মতো খুঁজে পাবে না, তার মানে তুমি তোমার জীবন থেকে সকল ধরনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছো।




আর কোন কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা মানে, নতুন কোন কিছু নিয়ে সামনে এগোবার মত কোন প্রাণশক্তি তোমার মাঝে আর অবশিষ্ট নেই। বিষয়টি একটু গভীরভাবে ভাবতে গেলে অনেক ভয়ঙ্কর যে, নতুন কিছু করবার মতো যখন প্রাণশক্তি আমাদের মাঝে অবশিষ্ট থাকে না, তখন কিন্তু নতুন কোন সফলতাও আমরা দেখতে পাই না। আর তাই জীবন থেকে একঘেয়ে ব্যাপারগুলোকে সরিয়ে ফেলো, পরিবর্তনকে স্বাগতম জানাও, নিত্যনতুন কাজের মাধ্যমে নিজের আগ্রহকে ধরে রাখার চেষ্টা করো।

বর্তমানকে আলিঙ্গন কর


অতীতে না, ভবিষ্যতে না, সব সময় বাঁচার চেষ্টা করো বর্তমানে। তুমি যদি সব সময় তোমার বর্তমান সময়ের দিকে মনোযোগী হও তাহলে নিঃসন্দেহে তুমি অনেক সুখী একজন মানুষ হবে।



মনে রাখতে হবে, তোমার অস্তিত্ব বর্তমানে এবং এখনই। অর্থাৎ নিজের বর্তমানকে যদি গুরুত্ব না দাও, তাহলে একটি উজ্জ্বল আগামীকাল তোমার সামনে ক্ষীণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, অতীত বা ভবিষ্যৎ কোনটাই তোমাকে রাতারাতি কোন ফলাফল এনে দেবে না, তারপর তুমি যদি ভবিষ্যৎ নিয়েই পড়ে থাকো তাহলে তোমার আগামীকালটি সুন্দর হবে না।



মনে রাখতে হবে, যদি আগামীকালকে সুন্দর করতে চাও তাহলে বর্তমানেকে গুরুত্ব দিতে হবে। অতীত নিয়ে পড়ে থাকার কোন মানে নেই, কেননা অতীতের চিন্তা তোমাকে দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই দেবে না। অপরদিকে ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে আকাশ কুসুম কল্পনা তোমাকে বাস্তব পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে। আর তাই বর্তমানকে দাও বেশি গুরুত্ব ।

সফলতার ঢেউয়ের মতো প্রভাব রয়েছে

যখন তুমি সংগ্রাম করবে, নিজেকে আরও বেশি উন্নত করবে তখন দেখবে তোমার আশেপাশের সব কিছুই আরো বেশি উন্নত এবং মনমত মনে হচ্ছে। অর্থাৎ তুমি যখন নিজের প্রচেষ্টায় নিজেকে সফলতার শীর্ষস্থানে দেখতে চাইবে তখন খেয়াল করবে তোমার আশেপাশের প্রতিটি জিনিসকে তুমি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছো।




একই সাথে তোমার সব কিছুই আগের চেয়ে অনেক ভালো লাগছে, অর্থাৎ আমাদের সফল হবার ইচ্ছা শুধু যে আমাদেরকে উন্নত জীবন দান করে তাই নয়, বরং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকেও উন্নত করে। যাতে করে আমরা আমাদের চারপাশের সব কিছুকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে পারি।


মনে রাখবে তোমার পরিবর্তন হচ্ছে তোমার নিজেরই বিবর্তন। অর্থাৎ, তুমি যখন নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইবে তখন আশেপাশের জিনিসগুলোকেও তুমি পরিবর্তিতভাবে গ্রহণ করতে শিখবে। আর তাই নিজেকে নিত্যনতুন কাজের সাথে খাপ খাইয়ে নাও। একই সাথে নিজেকে সফল করার জন্য উন্নত   স্বপ্ন দেখো। দেখবে আশেপাশের সব কিছুই তোমার সফলতার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।



স্পষ্টবাদী হও


যখনই আমরা কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাই, তখনই আমরা এমন কিছু পরিস্থিতি বা সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হই, যা পূর্বে কখনো ভাবিনি। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের পরিস্থিতি আমাদের সামনে আসতে পারে। তবে বিশ্বাস রাখতে হবে, তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেরি করলে বা অতিরিক্ত ভাবলে তাতে করে যে তোমার সিদ্ধান্ত অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে, তা নয় বরং যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপাতদৃষ্টিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।



কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্পষ্টবাদী মনোভাব যদি তোমাকে সাপোর্ট করে, তাহলে অবশ্যই দেরি না করে সে  সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলা উচিত। অর্থাৎ যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে তোমারস স্পষ্টবাদী মনোভাবের পাশাপাশি তোমার বিবেককেও জাগ্রত করো। নিজেকে জিজ্ঞেস করো, যে সিদ্ধান্তটি নিতে তুমি যাচ্ছো তা আদৌ ফলপ্রসূ কিনা। আর যদি সেটা ফলপ্রসূ না হয়, তবে সে ধরনের সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে চলে সাহসিকতার সাথে সামনে এগিয়ে যাও।

তোমার কল্পনাকে মুক্ত করে দাও


কল্পনাশক্তিকে কোনভাবেই আবদ্ধ না রেখে বরং তোমার কল্পনাশক্তিকে মুক্ত করে দাও। আরো বেশি স্বাধীনভাবে কল্পনা করবার জন্য তুমি যখন স্বাধীনভাবে তোমার ভবিষ্যৎ বা আগামী নিয়ে কল্পনা করতে পারবে, তখন তুমি অনেক সফল এবং সুখী জীবনযাপন করতে পারবে।



আমাদের অন্যতম সমস্যা হল আমরা কল্পনা করতে গিয়েও কিপটেমি করে বসি। ভাবি, “এটা কল্পনা করে আমাদের কী লাভ? এরকম তো আর হবে না!” কিন্তু তুমি যদি স্বপ্ন বড় না দেখো, তাহলে বড় কিছু কিন্তু অর্জন করতে পারবে না। তোমার কল্পনাকে যদি তুমি স্বাধীন করে না দাও, তাহলে বড় কিছু অর্জন করা তোমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আর তাই তোমার কল্পনা শক্তিকে মুক্ত করে দাও। নিজের মত করে কল্পনা করো। তাহলে সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য তোমার ভেতরে আকাঙ্ক্ষার জন্ম হবে।



ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যহত রাখো


জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র হলো সাতবার পড়ে গিয়েও আটবারের বেলায় উঠে দাঁড়াতে হবে।



কখন আত্মসমর্পন করো না, কখনো হেরে যেও না। তোমার বিশ্বাসই তোমার সফলতা নির্ধারণ করবে। আর তাই যত সমস্যায়ই পড়ো না কেন, যত বিপদই সামনে থাকুক না কেন, যদি তা তোমার সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি নিজের ভেতর রাখতে হবে।



মনে রেখো, ঘরে বসে থাকলে কোন সফলতা তোমার সামনে আসবে না। সেজন্য তোমাকে লড়াই করতে হবে। তুমি বারবার পড়ে যাবে কিন্তু তোমাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। জীবনে যদি সফল হতে চাও নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। এই বিশ্বাস রাখো, যত সমস্যাই হোক তুমি ঘুরে দাঁড়াবেই। এটা আশা করোনা যে অন্য কেউ সব সময় তোমার উপর বিশ্বাস রাখবে। নিজের বিশ্বাস তোমাকে নিজের উপরই রাখতে হবে।

নিজের পথ অনুসরণ কর


নিজের সম্পর্কে যদি তোমার নিজের কোনো স্পষ্ট ধারণা না থাকে, কোন পথ যদি তোমার নিজের তৈরি না থাকে, তাহলে অন্যরা কতক্ষণ তোমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারবে? আমাদের সবারই কিছু ভ্রান্ত বিষয়ে থাকে, অপরের ব্যাপারে অগাধ জ্ঞান থাকে, অপরের রাস্তা সম্পর্কে আমরা খুব বেশি অবগত থাকি। কিন্তু নিজে আসলে কোন পথে হাঁটতে চাই সেই ব্যাপারে অবগত হতে পারি না।



অন্যেরা তাদের অভিজ্ঞতা তোমার সাথে শেয়ার করবে। অবশ্যই আরেকজনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা ভালো। তাতে করে তোমার নিজের পথকে তুমি কীভাবে আরো মসৃণভাবে চলতে পারবে সে ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। কিন্তু মনে রেখো তোমাকে সবসময় নিজের পথেই হাঁটতে হবে। অন্যের বিশ্বাস বা অন্যের স্বপ্নকে পুঁজি করে তুমি বেশি দূর এগোতে পারবে না।



অন্যের রাস্তায় নিজের শক্তি দিতে গেলে বারে বারে তুমি শক্তিশূন্য হয়ে যাবে। আর তাই অপরের পথের চেয়ে নিজের পথকে ভালোভাবে অনুসরণ করা শেখো। সেই সাথে নিজেকে জানার চেষ্টা কর, তুমি আসলে কোন পথে হাঁটতে চাও, সেই পথকে কীভাবে আরো মসৃণ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করো।



নিজের পথে হাঁটতে গেলে অনেক সময়ই তোমার দৃষ্টিভঙ্গিকে অপরের সামনে সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক প্রমাণ করতে হবে। আর তাই নিজের পথটিকে ভালোভাবে চেনার চেষ্টা করো এবং নিজের পথে হাঁটার চেষ্টা করো।



শুধু কথা নয় বরং কাজ শুরু করবে এমন কেউ হওয়ার চেষ্টা করো


অভিজ্ঞতা অর্জন এবং নতুন কিছু শেখার অন্যতম মাধ্যম হল চেষ্টা করা। আমাদের মাঝে এরকম অনেকেই আছে, যারা শুধু বলেই যায়, তারা এটা করবে, ওটা করবে, কিন্তু শুরু আর করতে পারেনা। তুমি নিজে থেকে নিজেকে তাদের দলভুক্ত করো না। বরং তুমি যে কোন কাজ করার কথা বললে সেটা করে দেখানোর চেষ্টা করো।



অথবা যে কোন উদ্যোগ নিজে নেওয়ার চেষ্টা করো। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা তোমাকে নিত্য নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত করে দেবে। মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে তার অভিজ্ঞতা। তুমি হয়তো চেষ্টা করে ব্যর্থ হতে পারো, কিন্তু বিশ্বাস রেখো তোমার এই ব্যর্থতা একপ্রকার সফলতা। কারণ, যে চেষ্টা করেনি তার ভাগ্যে কিছুই জোটেনি, কিন্তু তুমি অভিজ্ঞতাকে তোমার অর্জনের খাতায় লিখে রাখতে পারবে।



এই লেখাটি নেয়া হয়েছে রবি ১০ মিনিট স্কুল ব্লগ থেকে।

-----★---------★--------★---------★----
ঘুর্নিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে করণীয় :

১. দূর্যোগের সময় কোন এলাকার লোক কোন আশ্রয়ে যাবে, গরু, ছাগল, মহিষ কোথায় থাকবে তা আগে ঠিক করে রাখুন এবং জায়গা চিনে রাখুন।

২. নিজের কাছে ব্যাটারীচালিত রেডিও রাখুন বা মোবাইলে রেডিও শুনুন। নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করুন।

৩. সম্ভব হলে বাড়িতে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম (ব্যান্ডেজ, তুলা, ডেটল প্রভৃতি) রাখুন।

৪. জলোচ্ছ্বাসের পানির প্রকোপ থেকে রক্ষায় নানারকম শস্যের বীজ উত্তমভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিন।

৫. ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে বা অন্য আশ্রয়ে যাবার সময় কি কি জরুরি জিনিস সঙ্গে নেয়া যাবে এবং কি কি জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখা হবে তা ঠিক করে সে অনুসারে প্রস্তুতি নেয়া উচিত।

৬. আর্থিক সামর্থ থাকলে ঘরের মধ্যে একটি পাকা গর্ত করুন। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বে এই পাকা গর্তের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।

৭. ডায়ারিয়া মহামারীর প্রতি সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে। শিশুদের ডায়ারিয়া হলে কিভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে সে বিষয়ে পরিবারের সকলকে প্রশিক্ষণ দিন।

৮. ঘূর্ণিঝড়ের মাসগুলোতে বাড়িতে মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট জাতীয় শুকনো খাবার রাখুন।

৯. নোংরা পানি কিভাবে ফিটকারি বা ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায় সে বিষয়ে আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিন।

১০. বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করুন। মাটির বড় হাঁড়িতে বা ড্রামে পানি রেখে তার মুখ ভালভাবে আটকিয়ে রাখতে হবে যাতে পোকা-মাকড়,ময়লা- আবর্জনা ঢুকতে না পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাবার পর দুর্যোগকালে করণীয় :

১. আপনার ঘরগুলোর অবস্থা পরীক্ষা করুন, আরও মজবুত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যেমন মাটিতে খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে ঘরের বিভিন্ন অংশ বাঁধা।

২. দুর্যোগকালীন স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।

৩. বিপদ সংকেত পাওয়া মাত্র বাড়ির মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধাদের আগে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে প্রস্তুত হোন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশের পরে সময় নষ্ট না করে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যান।

৪. বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার সময় অবশ্যই আগুন নিভিয়ে যাবেন।

৫. আপনার অতি প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্যসামগ্রী যেমন- ডাল, চাল, দিয়াশলাই, শুকনো কাঠ, পানি, ফিটকিরি, চিনি, নিয়মিত ব্যবহৃত ঔষধ, বইপত্র, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওরস্যালাইন ইত্যাদি পানি নিরোধন পলিথিন ব্যাগে ভরে গর্তে রেখে ঢাকনা দিয়ে পুঁতে রাখুন।

৬. আপনার গরু-ছাগল নিকটস্থ উঁচু বাঁধে অথবা উঁচুস্থানে রাখুন। কোন অবস্থায়ই গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখবেন না। কোন উঁচু জায়গা না থাকলে ছেড়ে দিন, বাঁচার চেষ্টা করতে দিন।

৭. আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব না হলে শক্ত গাছের সাথে কয়েক গোছা লম্বা মোটা শক্ত রশি বেঁধে রাখুন। রশি ধরে অথবা রশির সাথে নিজেকে বেঁধে রাখুন যাতে প্রবল ঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিতে না পারে।

৮. আশ্রয় নেয়ার জন্য নির্ধারিত বাড়ির আশেপাশে গাছের ডালপালা আসন্ন ঝড়ের পূর্বেই কেটে রাখুন, যাতে ঝড়ে গাছগুলো ভেঙে বা উপড়িয়ে না যায়।

৯. রেডিওতে আবহাওয়া আপডেট নিয়মিত শুনুন।

১০. দলিলপত্র ও টাকা-পয়সা পলিথিনে মুড়ে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখুন অথবা সুনির্দিষ্ট স্থানে পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখুন।

১১. টিউবওয়েলের মাথা খুলে পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং টিউবওয়েলের খোলা মুখ পলিথিন দিয়ে ভালভাবে আটকে রাখতে হবে যাতে ময়লা বা লবনাক্ত পানি টিউবওয়েলের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে।

দূর্যোগ পরবর্তী করণীয় :

১. রাস্তা-ঘাটের উপর উপড়ে পড়া গাছপালা সরিয়ে ফেলুন যাতে সহজে সাহায্যকারী দল আসতে পারে এবং দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হয়।

২. আশ্রয়কেন্দ্র হতে মানুষকে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করুন এবং নিজের ভিটায় বা গ্রামে অন্যদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিন।

৩. অতি দ্রুত উদ্ধার দল নিয়ে খাল, নদী, পুকুর ও সমুদ্রে ভাসা বা বনাঞ্চলে বা কাদার মধ্যে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করুন।

৪. ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণ যাতে শুধু এনজিও বা সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজে যেন অন্যকে সাহায্য করে সে বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে।

৫. দ্বীপের বা চরের নিকটবর্তী কাদার মধ্যে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের জন্য দলবদ্ধ হয়ে দড়ি ও নৌকার সাহায্যে লোক উদ্ধারের কাজ শুরু করুন।

৬. ঝড় একটু কমলেই ঘর থেকে বের হবেন না। পরে আরও প্রবল বেগে অন্যদিক থেকে ঝড় আসার সম্ভাবনা থাকে।

৭. পুকুরের বা নদীর পানি ফুটিয়ে পান করুন। বৃষ্টির পানি ধরে রাখুন।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া পড়ুন :

১- আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

২- সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি। (মুয়াত্তা)
অর্থ :পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা- তাঁর প্রশংসা  সভয়ে পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা।

৩- আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগজাবিকা ওয়া লা তুলহিকনা বিআ’জাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা। (তিরমিজি)
অর্থ : হে আমাদের প্রভু! তুমি ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না আর তোমার আযাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে নিও।

৪- আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। (বুখারি)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।

৫- আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্আলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা ফিহা- ওয়া খাইরা মা উরসিলাতবিহি; ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাতবিহি। (তিরমিজি)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর মঙ্গল, এর মধ্যকার মঙ্গল ও যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার মঙ্গলসমূহ প্রার্থনা করছি এবং আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর অমঙ্গল হতে, এর মধ্যকার অমঙ্গল হতে এবং যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার অমঙ্গলসমূহ হতে।
©



-----★---------★--------★---------★----
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
🌺আসসালামু আলাইকুম🌺

📖📖কোরআন থেকে তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা নিয়ে
আমারা আসছি তোমাদের মাঝে।
তোমাদের প্রতিভার সুরের মাঝে হারিয়ে যেতে।

📌আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে আমাদের এই পেজে চোখ রাখুন

🌺ধন্যবাদ🌺

#কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন

  • Mobi: +8801302427858
  • Web site: http://www.kssfbd.blogspot.com
  • GMail : Kscf2019@gmail.com
#kssf
#kssfbd
#Kazipur
#কাজিপুর
#কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন


-----★---------★--------★---------★----
🍂"বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম" 🍂

মানবতার  সেবা করার জন্য  উধার মনের মানুষ পরিচয় দিয়ে আমাদের সংগঠনের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সু-প্রিয়

সৌদি প্রবাসী কাজিপুর হাজিপাড়া কৃতি সন্তান
      👤মোঃ_জাহিদুল_ইসলাম

আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে থাকবেন।
🍁🍁ওনার এই বিশাল মন  মানসিকতা কে আমরা স্বাগতম জানাই🍁🍁

           🌷ধন্যবাদ 🌷
🌿কাজিপুর সূর্য সন্তান ফাউন্ডেশন
🌿


-----★---------★--------★---------★----
🍂"বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম" 🍂

মানবতার  সেবা করার জন্য  উধার মনের মানুষ পরিচয় দিয়ে আমাদের সংগঠনের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সু-প্রিয়

সৌদি প্রবাসী কাজিপুর হাজিপাড়া কৃতি সন্তান
      👤মোঃ_ইকবল_হোসেন

আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে থাকবেন।
🍁🍁ওনার এই বিশাল মন  মানসিকতা কে আমরা স্বাগতম জানাই🍁🍁

           🌷ধন্যবাদ 🌷
🌿কাজিপুর সূর্য সন্তান ফাউন্ডেশন
🌿


9/24/2019
-----★---------★--------★---------★----
আমি তোমাদেরকে যে রিযি্ক দিয়াছি তা থেকে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ব্যয় কর এর আগে যে, তোমাদের কারো মৃত্যু 
এসে যাবে।
আর তখন বলবে হে আমার প্রতিপালক তুমি আমাকে কিছু সময়ের জন্য সুযোগ দিলে। আমি দান -সাদকা করতাম এবং নেক লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।
কিন্তু যখন কাহারও নির্ধারিত সময় উপস্হিত হইবে
(অর্থাৎ
হায়াত শেষ হয়ে যাবে)
তখন আল্লাহ্ তাহাকে কিছুতেই এক মুহুর্থ সময় দিবেনা।
তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।

সূরা মুনাফিকুন আয়াত (১০-১১)

-----★---------★--------★---------★----
আজ আমরা #কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কাজিপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা কিছু হাদিয়া দিলাম।এবং তাদের সাথে কিছু সময় কাটালাম আলহামদুলিল্লাহ সেই সময় টুকো অসাধারণ ছিল।
#kssf  #kssfbd #Kazipur ,কাজিপুর ,কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন




-----★---------★--------★---------★----
-
🍂বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম🍂
          আসসালামু আলাইকুম।

🍁🍁আসছে ঈদুল আযহা উপলক্ষে কাজিপুর_সূর্য_সন্তান_ফাউন্ডেশন পাশে আসছে মানবতার সৈনিকরা, আলহামদুলিল্লাহ।🍁🍁

🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸
 কাজিপুর জামাদার পাড়ার সন্তান
 বাহারাইন প্রবাসী   
 মোঃ_মশিউর_রহমান
 ঈদ উপলক্ষে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸

🤝 মহান আল্লাহ ওনার এ দানকে কবুল করুন,এবং   প্রবাস জীবনে সকল বিপদ থেকে হেফাজত করুন
আমিন।

🍁ওনার এই বিশাল মন  মানসিকতা কে  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আমাদের প্রাণ প্রিয় ফাউন্ডেশনের  সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গরা।

#মানবতার_জয়_হউক

    -----🌹শুভেচ্ছা🌹-------
কাজিপুর সূর্য সন্তান ফাউন্ডেশন





8/13/2019
-----★---------★--------★---------★----



🍁বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম🍁
সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর দরবারে যিনি আমাদের এই কাজটা কে সহজ করে দিয়েছেন।
💐ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৬৫ জন হতদরিদ্র দের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ১০-০৮-২০১৯
🤝আমরা আছি 🔹হাজিপাড়া, 🔹মাঠপাড়া, 🔹রিফুজিপাড়া, 🔹মধ্যমপাড়া, 🔹জামাদার পাড়া,🔹 ঢুলারপাড়া, 🔹বুডিপোতা, 🔹আলোম বাজার, 🔹মন্ডল পাড়ার
অসহায়দের মানুষের পাশে।

#উপস্থিত_ছিল_আমাদের_উপদেষ্টামন্ডলী
🔸জনাব মোঃ সাজেদুর রহমান লালটু (শিক্ষক)
🔸জানাব মোঃ মহাবুব রহমান হান্নান (শিক্ষক)
🔸জনাব মোঃ মহব্বত আলি রিগা

#প্রধান_অতিথি
🔸জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন মাষ্টার
#বিশেষ_অতিথি
🔸জনাব মোঃ সাজেদূর রহমান (শিক্ষক)
🔸জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন (পড়ার পাড়া)
🔸জনাব মোঃ সফি হুজুর।

#সদস্য_উপস্থিত_ছিল
🔸মোঃ আজম আলি
🔸মোঃ রানা আহাম্মেদ
🔸মোঃ রাজু আহাম্মেদ

#সার্বিক_ভাবে_কাজে_সাহায্য_করেছেন
🔸মোঃ আলামিন আহামেদ
🔸মোঃ সাগর আহামেদ
🔸মোঃ
#র্থিক_ভাবে_সহযোগিতা_করেছেন
🔸মোঃরিপন আলি         🔸মোঃ তপন রানা
🔸মোঃ রাজু  আহাম্মেদ  🔸মোঃ বিল্লাল হোসেন
🔸মোঃ মশিউর রহমান    🔸মোঃ ছাইদ ইসলাম
🔸মোঃ রুবেল রানা         🔸 মোঃ বিপ্লব হোসেন
🔸মোঃ তমাল                 🔸  মোঃ কান্নন আহামেদ
🔸মোঃ লালু মিয়া            🔸 মোঃরনি আহামেদ
🔸মোঃ সানটু                   🔸মোঃ সোহেল রানা
🔸মোঃ সোহাগ রানা        🔸মোঃ শাহানিল
🔸মোঃ আরিপ আলি      🔸মোঃ আজম আলি          🔸মোঃ বিপুল হোসেন।    🔸মোঃ আজম আলি
🔸মোঃ কাজল।               🔸মোঃ রানা আহামেদ
🔸মোঃ শিমুল হোসেন.    🔸মোঃ রিপন রানা

💐সৌজন্যে,
কাজিপুর সূর্য সন্তান  ফাউন্ডেশন।
🌍ওয়েব সাইটঃ https://kssfbd.blogspot.com/
kssfbd




8/13/2019
-----★---------★--------★---------★----
বর্তমানে আমাদের কাজের পরিধির ব্যাপকতার কারণে নানা বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। নিজের কাজ, পরিবার সামলানো কিংবা সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিয়তই আমাদের ভাবতে হয়। কারণ সবসময়ই কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে। আবার কোনো কাজ শুরু করার আগেও একটু ভেবে নিতে হয়। ব্যাপারটা যখন চিন্তার এবং চিন্তাই সমস্যা সমাধানের উপায়; তখন মাথাকে কাজে লাগাতেই হবে।
কিন্তু সব চিন্তাই যে ইতিবাচক হবে এমন না। দৈনন্দিন স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনাগুলোকে আমরা অনেক সময় উদ্বেগে রূপ দিয়ে দিই। যার কারণে জীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ, মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি আমরা। এটা তখনই ঘটে যখন আমরা সবকিছু নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করতে শুরু করি। আমরা যখন বুঝতে পারি না যে, আমাদের আসলে কী নিয়ে কতটুকু চিন্তা করা উচিৎ; তখনই বাধে বিপত্তি! এর প্রভাব পড়ে শরীর ও মনের উপর। চিন্তা তখন আর চিন্তা থাকে না, পরিণত হয় উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তায়। অথচ কতগুলো ব্যাপার মাথায় রেখে চিন্তা করলেই আমাদের আর উদ্বিগ্ন হতে হয় না। সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বাড়তি চিন্তার হাত থেকে বাঁচতে চলুন কিছু কৌশল জেনে নিই।

ভাবনাগুলো গুছিয়ে নিন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই নানা ভাবনার উদয় হয়। আবার মুহূর্তের ভেতর এক ভাবনা ফেলে অন্য ভাবনায় চলে যাই। পুরো একটি দিনে যতগুলো ঘটনার সম্মুখীন আমরা হই, মোটামুটি সব ঘটনা নিয়েই আমরা ভাবি। আমাদের সাথে ঘটা কোন ঘটনাগুলো আমাদের কাছে গুরুত্ব পাবে, সেটা নির্ভর করে আমাদের জীবনধারার উপর। 
https://assets.roar.media/assets/rXK6XI5AFclUoD5N_original-17133-1547138568-2.jpg
বর্তমানে আমাদের কাজের পরিধির ব্যাপকতার কারণে নানা বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। নিজের কাজ, পরিবার সামলানো কিংবা সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিয়তই আমাদের ভাবতে হয়। কারণ সবসময়ই কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে। আবার কোনো কাজ শুরু করার আগেও একটু ভেবে নিতে হয়। ব্যাপারটা যখন চিন্তার এবং চিন্তাই সমস্যা সমাধানের উপায়; তখন মাথাকে কাজে লাগাতেই হবে।
কিন্তু সব চিন্তাই যে ইতিবাচক হবে এমন না। দৈনন্দিন স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনাগুলোকে আমরা অনেক সময় উদ্বেগে রূপ দিয়ে দিই। যার কারণে জীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ, মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি আমরা। এটা তখনই ঘটে যখন আমরা সবকিছু নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করতে শুরু করি। আমরা যখন বুঝতে পারি না যে, আমাদের আসলে কী নিয়ে কতটুকু চিন্তা করা উচিৎ; তখনই বাধে বিপত্তি! এর প্রভাব পড়ে শরীর ও মনের উপর। চিন্তা তখন আর চিন্তা থাকে না, পরিণত হয় উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তায়। অথচ কতগুলো ব্যাপার মাথায় রেখে চিন্তা করলেই আমাদের আর উদ্বিগ্ন হতে হয় না। সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বাড়তি চিন্তার হাত থেকে বাঁচতে চলুন কিছু কৌশল জেনে নিই।

ভাবনাগুলো গুছিয়ে নিন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই নানা ভাবনার উদয় হয়। আবার মুহূর্তের ভেতর এক ভাবনা ফেলে অন্য ভাবনায় চলে যাই। পুরো একটি দিনে যতগুলো ঘটনার সম্মুখীন আমরা হই, মোটামুটি সব ঘটনা নিয়েই আমরা ভাবি। আমাদের সাথে ঘটা কোন ঘটনাগুলো আমাদের কাছে গুরুত্ব পাবে, সেটা নির্ভর করে আমাদের জীবনধারার উপর।


তাই এখানে কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আমাদেরকে ঠিক করতে হবে আসলে আমরা জীবনে কী চাই, চাওয়ার সাথে আমাদের ভাবনাগুলোর মিল রয়েছে কি না। আবার কোনো ব্যাপার নিয়ে ঠিক কতটুকু ভাবা উচিৎ। অনেকের জীবনে উদ্বেগের প্রধান কারণ ভাবনাগুলোকে গুছিয়ে চিন্তায় রূপ দিতে না পারার কারণে। তাই ভাবনাগুলোর নিয়ন্ত্রক হতে হবে আপনাকে।

যদি এমন হতো!

আচ্ছা, যদি লোকটার সাথে আরেকটু হেসে কথা বলতাম, তাহলে বোধহয় ভালো হতো। ওইদিন বোধহয় একটু বেশিই কথা বলে ফেলেছি। ইস! হাসার সময় আমার দাঁতগুলো কী বিশ্রী লাগছিল।
এগুলোই হচ্ছে 'কী হলে কী হতো' টাইপ চিন্তা-ভাবনা। একটা কাজ করে ফেলার পর সেটা নিয়ে আপনার মনে যে খুঁতখুঁতে ভাব জেগে ওঠে, সেখান থেকেই আপনি নিজের মনে হীনম্মন্যতাকে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেন। তখন দু'একটা জায়গায় আর ভাবনাটা থাকে না, সেটা ছড়িয়ে পড়ে আপনার প্রতিটি কাজে।
তাই 'কী হলে কী হতো' টাইপ চিন্তা থেকে বাঁচতে নিজের করণীয় আগেই ঠিক করে নিন। পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুধাবন করার মানসিকতা গড়ে তুলুন। কোনো কাজ করার আগেই সেই কাজের ব্যাপারে আইডিয়া নিয়ে রাখলে তখন আর কাজ করার পর মনে খুঁতখুঁতে ভাবটা আসবে না। একই কথা মানুষের সঙ্গে মেশার সময়ও। অন্তত মানুষটার সামনে হাসলে আপনাকে কেমন লাগবে সেটা আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন!

বাস্তববাদী হোন


Image Source: Entrepreneur

চিন্তা করা স্বাভাবিক, শুধু জানা থাকতে হবে কখন, কোথায়, কতটুকু চিন্তা করা উচিৎ। এটাই একজন বাস্তববাদী মানুষ আর কল্পনার জগতে বাস করা মানুষের প্রধান পার্থক্য। কল্পনার জগতে বাস করা মানুষ বাস্তবে কোনো কিছু অন্যভাবে ঘটতে দেখলে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তার কাছে মনে হতে থাকে, এটা তো এভাবে হওয়ার কথা ছিলো! যার কারণে তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে উল্টো পথে চালাতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে। বাস্তববাদী হওয়া মানে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা। যেমনটাই ঘটুক না কেন, আমি নিজের জায়গায় অনড় থাকবো, সমস্যার সমাধান করবো। আমার মতো হয়নি বলে দুশ্চিন্তার পথে পা বাড়াব না। জীবনটাকে বাক্সবন্দি না করে 'অনেক কিছুই হতে পারে' ভাবনার জায়গাটা তৈরি করতে পারলেই সমস্যা আর সমস্যা থাকে না।

পরিপূর্ণতা পরিহার

সব কাজে যদি আপনার একদম হুবহু যেভাবে ভেবেছেন সেভাবেই পেতে হয়, তবে আপনি কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন না। কেন? কারণ সবকিছুতে পূর্ণতা পাওয়া মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এটা একেবারেই একটি অবাস্তব চিন্তা, সেই সাথে মানসিক অপরিপক্বতারও বহিঃপ্রকাশ।
আপনার সব কাজ যেভাবে চিন্তা করেছেন সেভাবেই হতে হবে, নইলে কাজটা হয়নি- এমন মনোভাব আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে না পারলে কিছুদিনের মাথায় আপনি মনের শান্তি হারিয়ে ফেলবেন।

ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা

আমাদের ভেতর একটা বৃহৎ অংশ ভবিষ্যত নিয়ে পড়ে থাকি। আজকের করণীয় কী, সেটার চেয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনাই আমাদের কাছে প্রাধান্য পায় বেশি। ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করা যেতেই পারে, কিন্তু আমরা মাত্রাতিরিক্ত আশা রাখি ভবিষ্যতের ব্যাপারে। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসলে আমরা ভেঙে পড়ি। এটা আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে যে, ভবিষ্যত আমাদের হাতে নেই, পুরো অনিশ্চিত আর ধোঁয়াটে একটি ব্যাপার।

Image Source: CBHS

আমাদের কাজ হলো পরিকল্পনা মতো বর্তমানকে গুছিয়ে নেওয়া। একে পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানো আর ভবিষ্যত যেকোনো (ভালো কিছু হবে প্রত্যাশা রাখতে হবে) ফলাফলের জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখা। এটাই দুশ্চিন্তা না তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।

ঘুরোঘুরি ও বই পড়া


Image Source: JOE.ie

কাজের চাপে যখন নাজেহাল, তখন আপনার প্রয়োজন একটু বিশ্রাম। এটা অনেক সময় শরীরের না হয়ে মনের হয়ে পড়ে। আর মনের যখন বিশ্রাম প্রয়োজন পড়ে তখন মন এদিক-ওদিক ভাবতে শুরু করে। যার ফলাফল হিসেবে আপনার কাজের গতি হারিয়ে যায়, মাথার ভেতর চিন্তাগুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে, যার চূড়ান্ত রূপ হলো দুশ্চিন্তা।
এসব থেকে বাঁচতে চিন্তাগুলোকে একটু বিশ্রাম দিন। বিশ্রাম দেওয়ার ভালো কিছু মাধ্যম হলো আপনার পছন্দের কোনো জায়গায় ঘুরতে বের হওয়া। এটা বাড়ির পাশের কফি শপ হতে পারে, পাহাড়ি ঝর্ণা হতে পারে কিংবা আপনার কোনো পছন্দের আত্মীয়ের বাড়ি। সে যা-ই হোক না কেন, আজই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। সাথে দুই-একটা বই নিতে ভুলবেন না। হতে পারে আপনার পড়া বই থেকেই সমস্যা সমাধানের কোনো সূত্র পেয়ে গেছেন!

ভয়কে জয়

মানুষের চলার পথে একটা বড় অংশজুড়ে থাকে 'ভয়' এর মতো বিষয়। ভয়কে ঘিরেই আমাদের অনেকের চিন্তা, পরিকল্পনা আবর্তিত হয়। আর ভয়গুলো গজিয়ে ওঠে আমাদের আগের ব্যর্থতা ঘিরেই। সাধারণত মানুষ এমন কাজে পা বাড়ায় না, যেটাতে সে আগে একবার ব্যর্থ হয়েছে। তাই এমন কাজ আবার করতে গেলে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না।

Image Source: Corpzpro

কিন্তু সফল হওয়ার জন্য সামনে পা ফেলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। এগুলোকে ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে, সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে। তবেই দুশ্চিন্তার বদলে মনে সাহস জন্মাবে।

নিজের উপর আস্থা

স্বপ্ন পূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলা। আস্থা হারানোর প্রক্রিয়াটাও একদিনে ঘটে না। জীবনে চলার পথে নানা ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। আমরা হয়ে পড়ি চূড়ান্ত হতাশ। এসব হওয়ার একটা বড় কারণ হলো নিজের যোগ্যতার চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করা। যদিও স্বপ্ন বড় রাখা উচিত, কিন্তু সেটা তখনই, যখন আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করার জন্য কাজ করতে পারবেন। তাই নিজের উপর অল্পতেই আস্থা হারাবেন না, নিজেকে তৈরি করুন ধৈর্য নিয়ে।

কৃতজ্ঞ থাকুন


Image Source: blog.granted.com

অযাচিত চিন্তা থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবসময় সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। কৃতজ্ঞ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এবং মানুষকেও তাদের সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ দিন। আপনি যা পেয়েছেন তা নিয়ে যদি সন্তুষ্ট থাকেন, তবে দুশ্চিন্তাগুলো এমনিতেই মন থেকে পালাবে। সবকিছু আপনার নয়, তাই সবকিছু নিয়ে ভাবতে যাবেন না। আবার সবার সব সমস্যা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। ততটুকুই করুন, যতটুকু করে আপনি নিজেও সন্তুষ্ট। নিজের ভেতর কৃতজ্ঞতার চর্চার পাশাপাশি কৃতজ্ঞ মানুষদের সাথেও মেলামেশার চেষ্টা করুন।

ঘুম

চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে নিতে শরীরের মতো মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। আর এমন বিশ্রামের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে ঘুম। সাধারণত আমাদের ভেতর প্রচলিত মানসিক সমস্যাগুলোর একটা বড় কারণ পর্যাপ্ত না ঘুমানো। তাই যত চাপই থাকুক, চেষ্টা করতে হবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘুম যাতে নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই আর চিন্তাগুলো মাথার ভেতর প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুরপাক খাবে না!
copy from roar

my info

{facebook#www.facebook.com/raju.ahammed.16} {twitter#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {google-plus#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {pinterest#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {youtube#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {instagram#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget